প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১১, ২০১৮ পঠিতঃ 2396142
অনলাইন থেকেঃ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্যর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য শুভ মনে করছে মণিরামপুরের রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষ। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নোংরা খেলায় মেতেছেন ওই রাজনৈতিক মহল। তারা যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্যর জনপ্রিয়তাকে ঈর্ষাণিত হয়ে এই অপপ্রচারে নামে।
শুভর মা তন্দ্রা ভট্টাচার্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাকেও নোংরা রাজনীতির কারণে ঘায়েল করতে এসব করা হয়েছে বলে এমপি স্বপন অনুসারীরা মনে করছেন।
তারা জানান, এমপি স্বপন ভট্টাচার্যকে হেনস্তা করার জন্য রাজনৈতিক মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের প্রশ্ন কিভাবে এ খবর সাংবাদিকদের কাছে গেল ? কারা খবর নিয়ে বেশি উৎসাহ দেখিয়েছে ? থানা পুলিশ যদি রেট দেবে তাহলে ডিবি পুলিশের নাম কেন বলা হলো ? ইত্যাদি।
তবে এ ব্যপারে ডিবি পুলিশের কোন বক্তব্য গণমাধ্যমে আসেনি। ওই সব গণমাধ্যমে ডিবি পুলিশের কারো কোন বক্তব্য ছাপেনি।
খবরে বিশ্লেষনে জানা যায়, সোমবার কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) শামসুদ্দোহা শহরের হাটখোলা রোডে হোটেল সিটি প্লাজায় অভিযান চালান। তিনি হোটেলের একটি কক্ষ থেকে শুভ ও সাবরিন নামে দুই যুবক-যুবতীকে আটক করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) শামসুদ্দোহা কাউকে হোটেল সিটি প্লাজা থেকে গ্রেফতার করেননি বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন সোমবার সাংবাদিকদের জানান, এএসআই সাবরিনা তার থানায় কর্মকর্তা রয়েছেন। ওই দিন এসপি অফিসে ব্যক্তিগত কাজে ও পাসপোর্ট করার জন্য দুপুর ১২টার সময় সিসি নিয়ে যশোর যান। তবে ওই মহিলা পুলিশ সদস্যকে কেউ যশোরে দেখেনি।
সোমবার যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন সিকদার সাংবাদিকদের জানান, এমপির ছেলে শুভ ও এএসআই সাবরিনা নামে কাউকে আটক করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্যর বক্তব্যের জন্য তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সোমবারের পর মণিরামপুরের রাজনীতিতে নানা রকম কথাবার্তা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে হোটেল সিটি প্লাজার মালিক ইয়াকুব আলী আগামী সংসদ নির্বাচনে মণিরামপুর থেকে নির্বাচন করতে চান। যে কারণে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় দানবীর হিসেবে নানা রকম প্রচার ও কার্যক্রম চালাচ্ছেন। গেল ঈদে তিনি পুরো উপজেলাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার ব্যানার ফেস্টুর পুরো উপজেলা জুড়ে শোভা পাচ্ছে। এসব কারণে প্রশ্ন উঠেছে ষড়যন্ত্রের সাথে ইয়াকুব আলীও যুক্ত কিনা ? কারণ সেদিনের ভিডিও ফুটেজ সাংবাদ কর্মীরা হোটেল থেকে সংগ্রহ করার জন্য হোটেলে দেনদরবার করলেও তারা কোন ফুটেজ দেননি। কিম্বা দেখাতে পারেননি।
এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা মনোনয়ন লাভের আশায় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক সময় এমপি স্বপন ভট্টাচার্যের সাথে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাকে কিভাবে হেনস্তা করা যায় তার জন্য বিভিন্ন সময় নানা রকম ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এমপি স্বপন ভট্টাচার্যকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে না পেরে সামাজিকভাবে হেনস্তা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সুত্রঃ http://www.worldbdnews.com/2018/01/11/56984
মোঃ মাহাবুবুর রহমান (মাহাবুর) / মোঃ মাহাবুবুর রহমান (মাহাবুর)