প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০১৯ পঠিতঃ 69741
অলিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর) থেকেঃ যশোর জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও ৩নং মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবু বকর আবু’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার)।
গণমানুষের নেতা আবু বকর আবু’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলার ৩নং মজিদপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির পলাশের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল নেতা সুমনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আবু বকর আবু’র ভাইপো হুমায়ন কবির-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতবৃন্দ।
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আবু বকর আবু যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ঢাকায় অবস্থানকালে তাকে গুম করে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে পাওয়া যায়।
মরহুম আবু বকর আবু ১৯৫২ সালে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাগদাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বদর উদ্দীন সরদার ও মাতা সকিনা খাতুন। বাগদাহ-মজিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালট থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৬৮ সালে কেশবপুর পাইলট স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ১৯৭২ সালে কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশের পর যশোর এম.এম কলেজে ভর্তি হন।কিন্তু রাজনৈতিক কারনে যশোর থেকে পুনরায় কেশবপুর ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯৭৪ সালে তিনি বি.এ পাশ করেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী এবং ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ১৯৯১ সালেও তিনি বিএনপি থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
গণমানুষের নেতা আবু বকর আবু বর্তমান যশোর জেলা বিএনপি এর সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজনীতি ও সামাজিক কাজের কারণে জীবনে বিয়েও করেননি ৪ বাবের নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবু বকর আবু।
আবু বকর আবু বিএনপি এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পর্যায়ক্রমে থানা বিএনপি এর সাংগঠনিক সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং তারপর একটানা ২০ বছর সফলভাবে সভাপতি এর দায়িত্ব পালন করেন।
কামরুজ্জামান রাজু / কামরুজ্জামান রাজু